কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জেরে যখন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, ঠিক সেই সময়ে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে ভিড়েছে তুরস্কের একটি যুদ্ধজাহাজ ‘টিসিজি বুয়ুকাদা’। পাকিস্তান নৌবাহিনী জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদারের অংশ হিসেবেই এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তুরস্ক ও পাকিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক, প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তুর্কি প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো পাকিস্তানের সাবমেরিন ও ড্রোন প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তা করেছে। উভয় দেশ নিয়মিত যৌথ সামরিক মহড়াও চালিয়ে থাকে। সাম্প্রতিককালে তারা ‘আতাতুর্ক-ঢওওও’ নামক যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে।
করাচি বন্দরে পৌঁছালে পাকিস্তান নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জাহাজটিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সফরকালে তুর্কি নৌসেনারা পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও গভীর করবেন বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। ভারত এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে এবং আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। এর পর থেকেই সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, গোলাগুলি, নাগরিক বহিষ্কার এবং সীমান্ত পারাপার বন্ধের মতো ঘটনা ঘটছে।
সামরিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাকিস্তান সম্প্রতি ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। ইসলামাবাদের আশঙ্কা, ভারত সীমিত সামরিক অভিযানে যেতে পারে।
এই উত্তেজনাকর প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ড. ইরফান নেজিরোগলু প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আঙ্কারার পূর্ণ সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।