ইউরোপীয় কমিশন ঘোষণা করেছে, ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ রাশিয়া থেকে গ্যাস ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) আমদানি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জ্বালানি কমিশনার ড্যান জর্গেনসেন বলেন, “রাশিয়াকে আর জ্বালানিকে অস্ত্র বানাতে দেওয়া হবে না।” তিনি জানান, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ২০২২ সাল থেকেই ইইউ ধাপে ধাপে রাশিয়ান জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
আগামী জুন মাসে এ সংক্রান্ত একটি নতুন আইন প্রস্তাব আনা হবে। এতে ইইউর প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে রাশিয়ান তেল, গ্যাস এবং পারমাণবিক জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসার একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হবে।
ইউরোপীয় কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ইইউর গ্যাস আমদানির ৪৫% রাশিয়া থেকে আসত, যা ২০২৪ সালে নেমে এসেছে ১৯%-এ। একইভাবে, রাশিয়ান তেল আমদানি ২৭% থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩%-এ। তবে এখনো ২০২৪ সালের হিসাবে ইইউর ইউরেনিয়ামের ১৪%-এর বেশি রাশিয়া থেকে আমদানি হয়।
ইইউ জানিয়েছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার, জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সরবরাহ উৎসের বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে এই নির্ভরতা পুরোপুরি কমিয়ে আনা হবে। এছাড়া রাশিয়ার তথাকথিত “শ্যাডো ফ্লিট” ব্যবহারের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, ক্রেমলিন এই পরিকল্পনাকে “নিজের পায়ে গুলি করার শামিল” বলে মন্তব্য করেছে।