জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ডাটাবেজে রোহিঙ্গা ও বিদেশিদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ একেবারেই নেই বলে জানালেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর। সোমবার (৫ মে) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের তথ্য এখন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাতে না গিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো সংরক্ষণ করবে। ইসির কাজ শুধু তথ্য যাচাই নিশ্চিত করা।” এখনো ঠিক হয়নি কোন মন্ত্রণালয়ে রোহিঙ্গাদের সার্ভার থাকবে, তবে সরকার সিদ্ধান্ত দিলে এনআইডি বিভাগ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
সম্প্রতি ৫৬টি বিশেষ উপজেলাসহ সারা দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। হুমায়ুন কবীর জানান, এখন প্রযুক্তিগতভাবে এতটাই সক্ষমতা বেড়েছে যে, রোহিঙ্গা বা বিদেশিদের ভুল করে ভোটার তালিকায় ঢোকানো সম্ভব নয়। নিবন্ধনের সময় কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে।
এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়া দ্রুত করতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার পাশাপাশি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও এখন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বহু আবেদন ঝুলে থাকায় তা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে সংশোধনের ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখা যাবে বলেও জানান তিনি।
দ্বৈত এনআইডি ইস্যুতে হুমায়ুন কবীর বলেন, “বর্তমানে ৫০০-এর বেশি ডাবল এনআইডি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রথমে করা কার্ডটি বৈধ থাকবে, পরবর্তীটি বাতিল করা হবে।”
প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রম নিয়েও তিনি জানান, কানাডায় আগামী সপ্তাহে ভোটার নিবন্ধন ও এনআইডি কার্যক্রম চালু হবে। এর আগে অস্ট্রেলিয়াসহ আটটি দেশে এ সেবা চালু ছিল, যা কানাডা যুক্ত হলে হবে নয়টি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এখনো প্রক্রিয়াগত অনুমোদন না পাওয়ায় কার্যক্রম শুরু হয়নি।
এছাড়া এনআইডি বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে মিডিয়া প্রতিনিধিদের নিয়ে সেমিনার আয়োজনের পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানান তিনি।