রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ, বাজারজাতকরণ এবং সংরক্ষণে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে। এই নিষেধাজনা চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। এ সময় স্থানীয় বরফকলগুলোও বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ জানিয়েছেন, “এই সময়টায় মাছের প্রজনন ও বংশবিস্তারের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতেই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে।”
জেলেদের জীবিকা নির্বাহের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তাদের ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) দায়িত্ব পালন করবে।
বিএফডিসি ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেন, “নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের খাদ্যশস্য বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি এ বছর কাপ্তাই হ্রদে ৬০ মেট্রিক টন কার্পজাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদি বর্ষা শেষে কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকে, তাহলে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, হ্রদের মাছের উৎপাদনশীলতা এবং বাস্তুসংস্থান রক্ষা করা।