মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিতে গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে জড়ো হয়েছিলেন শত শত মানুষ। তাঁরা ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালা এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। মে দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসকে কেন্দ্র করে এসব বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
‘৫০৫০১’ নামের একটি সংগঠন এ বিক্ষোভের প্রধান আয়োজক ছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম ১০০ দিনে অভিবাসী ও ফেডারেল কর্মীদের বিরুদ্ধে নেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়। সিএনএন ও এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক সিটি, ডেনভার, শিকাগো, ওয়াশিংটনসহ বড় শহরগুলোর পাশাপাশি ছোট শহরগুলোর রাস্তায়ও বিক্ষোভকারীরা সমবেত হন।
ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৫৪ বছর বয়সী শেন রিডল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমরা মনে করি, অত্যন্ত ধনী শ্রেণি দেশকে দখল করে নিচ্ছে এবং শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্তদের দমন করছে।”
ভার্জিনিয়ার একটি শিক্ষা ইউনিয়নে কর্মরত রিডল আরও বলেন, “আমাদের নাগরিকেরা যদি এই প্রেসিডেন্ট ও তার ধনকুবের মিত্রদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে না পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে।”
নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের পাশাপাশি লস অ্যাঞ্জেলেসে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ঘটনাস্থলে থাকা এএফপির আলোকচিত্রীরা। হিউস্টনের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বার্নার্ড স্যাম্পসন বলেন, “এই অভিবাসীরাই তোমার রেস্তোরাঁয় কাজ করে, তোমার ঘরবাড়ি বানায়,”—এই নীতির বিরুদ্ধেই আমাদের অবস্থান।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ফ্রান্স থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন মে দিবসের র্যালিতেও ট্রাম্পবিরোধী বার্তা দেখা গেছে।