ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রথম ইউক্রেনের কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিচ্ছে তার প্রশাসন। চলতি সপ্তাহেই দুই দেশের মধ্যে একটি খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ইউক্রেনে নতুন করে অস্ত্র চালানের পথ উন্মুক্ত করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনে প্রতিরক্ষা হার্ডওয়্যার ও সেবা রপ্তানির জন্য প্রস্তাবিত লাইসেন্স অনুমোদন করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ইউক্রেন সংক্রান্ত সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছিলেন। এই অনুমোদনই হবে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রথম দৃষ্টান্ত।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, শনিবার পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ফাঁকে ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠকের ফলস্বরূপ একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত লাভজনক।
জেলেনস্কি বলেন, “আমরা ভ্যাটিকানে ঐতিহাসিক এক বৈঠক করেছি এবং তারই প্রথম ফলাফল হাতে পেয়েছি। এখন অপেক্ষা করছি অন্যান্য ফলাফলের জন্য।” তিনি এই চুক্তিকে ‘সত্যিকারের সমান’ আখ্যা দিয়ে জানান, এটি ইউক্রেনে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে।
তবে রাশিয়া এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ এক টেলিগ্রাম বার্তায় দাবি করেন, “ট্রাম্প কিয়েভ সরকারকে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছেন যে, তাদের এখন খনিজ সম্পদ দিয়ে মার্কিন সহায়তার মূল্য চুকাতে হবে। একটি অদৃশ্য দেশের কাছে তাদের জাতীয় সম্পদ দিয়ে সামরিক সরবরাহের অর্থ দিতে হবে।”