ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে—তেলের মূল্যসীমা কমানো, নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনের সঙ্গে সব ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ এবং রাশিয়ার ছায়া নৌবহরের জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কায়া ক্যালাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “বার্তাটা স্পষ্ট— ইউরোপ ইউক্রেনকে সমর্থনে কখনও পিছু হটবে না। রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ না করা পর্যন্ত ইইউ চাপ বাড়াতে থাকবে।”
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিদেনকো ইইউ’র নিষেধাজ্ঞার প্রশংসা করে বলেন, “এটি সঠিক জায়গায় চাপ সৃষ্টি করবে। তবে শান্তি নিশ্চিত করতে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।”
এদিকে ইউরোপীয় দেশগুলো ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের জন্য মার্কিন অস্ত্র কেনা শুরু করেছে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ৫০ দিনের মধ্যে শান্তি চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করা হবে।
নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ইউরোপীয় কমিশন প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়ার তেলের মূল্যসীমা ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার থেকে কমিয়ে ৪৫ ডলারে নামিয়ে আনার, যা বাজারমূল্যেরও নিচে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়ার বিশাল জ্বালানি রাজস্বের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে পশ্চিমা জোট প্রথম রাশিয়ার তেলের দাম ৬০ ডলারে সীমাবদ্ধ করেছিল। যদিও বেশিরভাগ সময় রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের বাজারদর এমনিতেই তার নিচে থাকায়, ওই পদক্ষেপকে অনেকেই প্রতীকী হিসেবে দেখেছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকেই ইইউ একাধিক ধাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে। তবে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন ও দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখা ইইউ’র ২৭ সদস্য দেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলায় দিন দিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।