ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশের প্রশাসনে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রদবদলের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী ইউলিয়া স্ভিরিদেনকো। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিহালের স্থলাভিষিক্ত হলেন, যিনি ২০২০ সাল থেকে এ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ইউক্রেনের পার্লামেন্ট ইউলিয়া স্ভিরিদেনকোর নিয়োগ অনুমোদন করে। দায়িত্ব নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বার্তায় স্ভিরিদেনকো জানান, তার অগ্রাধিকার হবে অভ্যন্তরীণ অস্ত্র উৎপাদন, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী করা। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি ইউক্রেন গড়তে চাই, যা সামরিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে আত্মনির্ভরশীল। যুদ্ধের সময় কোন বিলম্ব সহ্য করা যায় না, আমাদের কাজ করতে হবে দ্রুত এবং ফলপ্রসূভাবে।”
৪৯ বছর বয়সী ডেনিস শ্মিহালকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মন্ত্রণালয়টির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা তার পদে বহাল থাকছেন। তবে বিদায়ী আইনমন্ত্রী ওলগা স্টেফানিশিনাকে যুক্তরাষ্ট্রে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, যা এখনও ওয়াশিংটনের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ ছাড়াও, অর্থনীতি, কৃষি ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সংযুক্তি বিষয়ক উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদেও পরিবর্তন এসেছে। অ্যালেক্সেই সোবোলেভ ও তারাস কাচকা নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন এসব মন্ত্রণালয়ে।
তবে এই বড় ধরনের প্রশাসনিক রদবদল নিয়ে দেশ-বিদেশে সমালোচনাও শুরু হয়েছে। অনেকে অভিযোগ করছেন, পরিবর্তন হলেও প্রকৃত নীতিনির্ধারকেরা একই থাকছেন এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তার ঘনিষ্ঠ অনুগতদের দিয়ে সরকার পরিচালনার চেষ্টা করছেন।