জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের গ্রেপ্তার নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার মাঝে উঠে আসছে একের পর এক নতুন তথ্য। জানা গেছে, গ্রেপ্তারের আগে তিনি প্রায় তিন মাস আত্মগোপনে ছিলেন। দীর্ঘদিন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় ভাইয়ের বাড়িতে লুকিয়ে থাকার পর ঢাকায় আসেন এবং এক বান্ধবীর নামে ভাড়া নেওয়া বাসায় অবস্থান করতে থাকেন।
মমতাজের তৃতীয় স্বামী ডা. এসএম মঈন হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি আরও জানান, মমতাজ কিছুদিন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে তার দ্বিতীয় স্বামী, মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র রমজান আলীর মেয়ে রুনুর বাসায় অবস্থান করেছিলেন। তবে রমজানের আত্মীয় সানোয়ার হোসেন এই দাবিকে অস্বীকার করেছেন।
ডা. মঈন আরও দাবি করেন, মমতাজের নামে মহাখালীর ডিওএইচএস এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে, যা বর্তমানে তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) জুয়েলের দখলে রয়েছে। তবে জুয়েলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে মমতাজ বেগম চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে ধানমন্ডির ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, তিনি সম্প্রতি থানায় যোগ দিয়েছেন, তাই আত্মগোপনের সময়কাল সম্পর্কে তার কোনো তথ্য নেই।
এই গ্রেপ্তার ও ঘিরে থাকা নানা গুঞ্জনে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সাধারণ মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
