আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদীর ঐতিহ্যবাহী অরণখোলা কোরবানির পশুর হাটে জমে উঠতে শুরু করেছে খামারি ও ব্যাপারীদের ভিড়। গরু, ছাগল, মহিষসহ বিভিন্ন গবাদিপশু নিয়ে হাটে আসছেন বিক্রেতারা। যদিও হাট এখনো পুরোপুরি জমে ওঠেনি, তবে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, আগামী দুই হাটে পরিবেশ হয়ে উঠবে উৎসবমুখর।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঈশ্বরদীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৭৩ হাজার ৫১৬টি পশু। এর মধ্যে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০২টি ষাঁড়, ৩৯ হাজার ৫২২টি ছাগল এবং ৯১৫টি মহিষ। এসব পশু স্থানীয় হাট ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে।
খামারিরা জানান, পশু খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পশু পালনের খরচও বেড়েছে, যা পশুর দামেও প্রভাব ফেলবে। খামারি নজরুল বলেন, “চারটি গরু প্রস্তুত করেছি, খরচ অনেক বেড়েছে।” আরেক খামারি আবুল হোসেন জানান, তার দুটি ষাঁড়ের দাম হাঁকছেন সাড়ে ছয় লাখ টাকা।
পশু খাদ্য ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম বলেন, “২৫ কেজির দানাদার খাদ্য এখন বিক্রি হচ্ছে ২-২.৫ হাজার টাকায়,” যা আগের তুলনায় অনেক বেশি।
হাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পশুর স্বাস্থ্যসেবা এবং জালনোট শনাক্ত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোছা: আকলিমা খাতুন জানান, “স্থানীয় পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ সম্ভব। বিদেশি গরুর প্রয়োজন হবে না।”
