নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. অহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের অংশ হিসেবে তার মেয়াদকালে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চেয়ে নোবিপ্রবির রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।
গত ৪ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সার্কুলারভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ১৩ জন শিক্ষকের ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি, আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি এবং সিলেকশন বোর্ডে যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তাঁদের নাম-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
চিঠিতে যেসব শিক্ষকের নিয়োগের তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন অধ্যাপক ড. দিব্যদ্যুতি সরকার (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মমিন সিদ্দিকী (সমুদ্রবিজ্ঞান), সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান সিদ্দিকী (সমাজবিজ্ঞান), অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও প্রভাষক মো. সোহানুজ্জামান (বাংলা), সহকারী অধ্যাপক ড. আ.শ.ম. শরিফুর রহমান (প্রাণিবিদ্যা), অধ্যাপক ড. মো. আতিকুর রহমান ভূঁইয়া ও অধ্যাপক ড. গাজী মো. মহসিন (কৃষি), সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ভূঁইয়া (আইআইটি), সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মো. সিয়াম (শিক্ষা), অধ্যাপক ড. এমডি মাসুদ রহমান (বাংলা), সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমার সরকার (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি) এবং সহকারী অধ্যাপক ইমরুল কায়েস (এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট)।
একই দিনে পাঠানো আরও দুটি চিঠিতে পৃথকভাবে দুই শিক্ষককে তলব করেছে দুদক। তারা হলেন শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মো. সিয়াম এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. সোহানুজ্জামান।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে উল্লিখিত দুই শিক্ষককে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ দুদকের নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোবিপ্রবির রেজিস্ট্রার জানান, “আমরা দুদকের চিঠির জবাব পাঠিয়েছি। এটি মূলত সাবেক উপাচার্যের সময়কার নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে। যেসব শিক্ষককে সাক্ষাৎকারে ডাকা হয়েছে, তাদেরও আমরা জানিয়ে দিয়েছি।”
