ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের (FSIBL) ছুটিতে থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলীসহ মোট ৩৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুমোদন দেওয়া হয় ১৯ মে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগ প্রস্তাব তৈরি করে, জাল দলিলপত্র ব্যবহার করে ঋণ অনুমোদন নেন, এমনকি সীমাতিরিক্ত ঋণ মঞ্জুর করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ১০ জন এখনো কর্মরত, বাকিরা সাবেক কর্মকর্তা।
মামলায় অভিযুক্ত কর্মরত কর্মকর্তারা:
১. সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী – এমডি (ছুটিতে)
২. এস এম আজহারুল ইসলাম – এসইভিপি, ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশন
৩. মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ – ইভিপি, ট্রেজারি
৪. সাফায়েত আহমেদ চৌধুরী – ইভিপি, এসএমই ও এগ্রি ইনভেস্টমেন্ট
৫. আলী নাহিদ খান – ইভিপি, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট
৬. মো. নাছিম গওহার – এসভিপি, ঢাকা দক্ষিণ আঞ্চলিক কার্যালয়
৭. মুহাম্মদ মোশাররফ উদ্দীন – এসএভিপি, আইসিএন্ডসি
৮. ফারজানা শাম্মি – এসএভিপি, আন্দরকিল্লা শাখা, চট্টগ্রাম
৯. আরিফুল হক – এসএভিপি, খুলনা জোন
১০. ফারহানা নিগার চৌধুরী – এভিপি, জুবিলি রোড শাখা, চট্টগ্রাম
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বিনিয়োগ অনুমোদনের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট, ব্যবসায়িক ও ঠিকানা যাচাই, বীমা নথি, ট্রেড লাইসেন্স বা আইনগত ছাড়পত্র ছাড়াই ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা স্পষ্টতই ব্যাংকিং নিয়ম লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ।
দুদক জানিয়েছে, অভিযুক্তরা দুর্নীতি, বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অপরাধ করেছেন এবং মামলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে পুলিশকে এজাহার দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
