হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি সম্প্রতি আদালতে জানিয়েছেন, প্রাক্তন স্বামী ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিলেন। নিজের সঞ্চয় ফরাসি সম্পত্তি ‘শ্যাটো মিরাভাল’-এ বিনিয়োগ থাকার কারণে নতুন বাড়ি কেনার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ তার হাতে ছিল না। তাই জরুরি পরিস্থিতিতে জোলিকে পিটের কাছ থেকে সুদে ঋণ নিতে হয়েছিল।
‘পিপল’ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিরাভাল নিয়ে জোলি ও পিটের চলমান আইনি লড়াইয়ের মধ্যে নতুন এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। আদালতে দাখিল করা নথিতে জোলি বলেন, তিনি কখনোই পিটের কাছ থেকে ভরণপোষণ বা আর্থিক সহায়তা চাননি। ঋণ সুদসহ পরিশোধের পর জোলি পরিবারের জন্য নতুন বাড়ি কেনার চেষ্টা চালান। এছাড়া সম্পর্কের উত্তেজনা কমানোর জন্য লস অ্যাঞ্জেলেস ও মিরাভালের যৌথ বাড়ির মালিকানাও বিনামূল্যে পিটকে দিয়েছেন।
জোলি জানান, মিরাভাল তাদের পারিবারিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। সেখানে তারা বিয়ের অনুষ্ঠান করেছেন এবং ছয় সন্তানকে বড় করেছেন। তবে ২০১৬ সালের বিচ্ছেদের পর থেকে জোলি বা সন্তানরা আর সেখানে ফেরেননি। নতুন নথিতে তিনি বলেন, “বিচ্ছেদের সময়কার ঘটনাগুলো আমার এবং সন্তানদের জন্য গভীরভাবে বেদনাদায়ক ছিল।”
জোলি অভিযোগ করেছেন, ২০১৬ সালে ফ্রান্স থেকে ক্যালিফোর্নিয়াগামী এক ফ্লাইটে পিট শারীরিক ও মৌখিক নির্যাতন চালান। পিট এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বর্তমানে ছয় সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ পুত্র নক্সই নিয়মিতভাবে পিতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
মিরাভাল সম্পত্তি নিয়ে আইনি লড়াই ২০২১ সালে শুরু হয়, যখন জোলি তার অংশ ৬৪ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেন। ২০২২ সালে পিট মামলা করেন, অভিযোগ করে বিক্রিটি পারস্পরিক চুক্তি ভঙ্গ করেছে। এখনও আদালতের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হয়নি।
