সারা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব পালিত হলেও অন্তত ৪৯টি পূজামণ্ডপে নাশকতার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান। তিনি জানান, এসব চেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ১৯ জনেরও বেশি নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “দেশজুড়ে প্রায় ৩৫ হাজার পূজামণ্ডপের মধ্যে মাত্র ৪৯টিতে নাশকতার অপচেষ্টা হয়েছিল। অসুস্থ মানসিকতার কিছু মানুষ, কিছু কাপুরুষ সেখানকার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। পূজার উৎসব এখন পর্যন্ত যেভাবে চলছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশের সব পূজামণ্ডপেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে এ নিরাপত্তা কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হয়েছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সম্প্রীতির বাংলাদেশে কোনো নাশকতাকারীকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় না থেকে সাধারণভাবে উদযাপনের আশা ব্যক্ত করে র্যাব প্রধান বলেন, “যেদিন আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ ধরনের উৎসব পালন করতে পারবো, সেদিনই হবে প্রকৃত আনন্দের দিন। আপাতত আমাদের নিরাপত্তার বেষ্টনীর মধ্যে আয়োজন করতে হচ্ছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, সেই দিন সামনে আসবে।”
আলাপকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর কুমার দে ও সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন।
