লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠককে ‘গণতন্ত্রে উত্তরণের মাইলফলক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ১২ দলীয় জোট। শুক্রবার (১৩ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে জোটের শীর্ষ নেতারা এই মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসানে এই আলোচনার গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশায় ছিল। এই আলোচনার মাধ্যমে সেই প্রত্যাশার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।
রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রাথমিক ঐকমত্যকে নেতারা রাজনৈতিক বাস্তবতা ও জনগণের চাহিদার যুগোপযোগী সমঝোতা হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, নির্বাচন এগিয়ে আনার প্রস্তাব, প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার এবং বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে ড. ইউনূসের ভূমিকা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়।
তবে নেতারা সতর্ক করে বলেন, কেবল আলোচনায় নয়, বাস্তবায়নেও অগ্রগতি দেখতে চায় জনগণ। বিবৃতিতে বলা হয়, “এই আলোচনার সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গণতন্ত্রের নবযাত্রার বার্তা বহন করে। এটি শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর নয়, বরং দেশের জনগণেরই বিজয়।”
জোট নেতারা আশা প্রকাশ করেন, আলোচনার ধারাবাহিকতায় দ্রুত রাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনিক কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনা হবে।
এই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, রাশেদ প্রধান, ফারুক রহমান, শামসুদ্দিন পারভেজ, মাওলানা আব্দুর রাকিব, আবুল কাশেম, ফিরোজ মো. লিটন ও এমএ মান্নান।
