সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে পাকিস্তান। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে দেশটি প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ২০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি করেছে, যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৫০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপিতে। এই অর্থ ব্যয় হবে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্ট খাতে পরিচালন, অস্ত্র ও সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে ভারতের সঙ্গে হওয়া ভয়াবহ সংঘাতের পরই এই বাজেট পরিকল্পনায় প্রতিরক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তান সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করছে ঋণের সুদ পরিশোধে। এরপরেই সবচেয়ে বড় ব্যয়ের খাত হলো প্রতিরক্ষা। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের কৃষিখাতও ভয়াবহ দুরবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রবৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ১ শতাংশের নিচে।
ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে টানা চারদিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অংশ নেয়। সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে এপ্রিলে জম্মু-কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার পর। নয়াদিল্লি এ হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করলেও পাকিস্তান সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
