জাম শুধু একটি সুস্বাদু মৌসুমি ফলই নয়, বরং এটি একটি প্রাকৃতিক ওষুধও বটে। নানা রোগ প্রতিরোধে ও স্বাস্থ্যের উন্নয়নে জাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটি শরীরের জন্য একাধিক উপকার নিয়ে আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় জাম যুক্ত করা যেতে পারে নানা স্বাস্থ্য উপকারের জন্য।
জামের ১০টি উপকারিতা একনজরে
১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: জ্যাম্বোলিন ও জ্যাম্বোসিন নামক যৌগ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ও ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়।
২. হজমে সহায়তা করে: জামে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে।
৩. রক্ত পরিশোধক: এটি দেহের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে ও রক্তকে বিশুদ্ধ রাখে।
৪. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: দেহের কোষগুলোকে মুক্ত মৌল থেকে রক্ষা করে, বার্ধক্য কমায়।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ভিটামিন সি ও অন্যান্য উপাদান দেহকে রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: ফাইবার বেশি ও ক্যালোরি কম থাকায় এটি ক্ষুধা কমায় ও পেট ভরিয়ে রাখে।
৭. ত্বক ও চুলের যত্নে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ত্বক উজ্জ্বল করে, চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৮. কিডনির যত্নে: ডায়ুরেটিক হিসেবে কাজ করে, মূত্রতন্ত্র পরিষ্কার রাখে।
৯. দাঁতের যত্নে: জামের রস দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণ কমায় এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
১০. ক্যানসার প্রতিরোধে সম্ভাবনাময়: এতে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিছু ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে।
