ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ নিয়ে জারি বিভ্রান্তির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ব্যাখ্যামূলক বিবৃতি দিয়েছে। এতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড (এনবিএল) এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার অংশ নয়।
শুক্রবার (৩০ মে) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “কিছু সংবাদমাধ্যমে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করে এনবিএলকে একীভূতকরণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি সঠিক নয়।”
তিনি আরও বলেন, “ন্যাশনাল ব্যাংক একটি প্রচলিত ধারার ব্যাংক, তাই শুধুমাত্র ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় এটি থাকার কোনো সুযোগ নেই।”
এর আগে কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংককে একীভূত করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা হতে পারে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, কেবলমাত্র দুর্বল পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে, এবং তাতে এনবিএল অন্তর্ভুক্ত নয়।
গত ২৮ মে বিএফআইইউ-এর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গভর্নর বলেন, “একীভূতকরণের আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর মালিকানা সরকার গ্রহণ করবে। এতে আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, বরং তারা আরও শক্তিশালী ব্যাংকের অংশ হবেন।” তিনি আরও ইঙ্গিত দেন যে, প্রথম দফায় কয়েকটি ব্যাংক দিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হবে, পরে আরও ব্যাংক পর্যায়ক্রমে যুক্ত হতে পারে।