দুর্নীতি ও আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে একাধিক সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিব এবং সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদক জানিয়েছে, এদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং নানা ধরনের আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তারা বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন—এমন আশঙ্কা থেকেই নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে:
-
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম
কৃষিজমি, ফ্ল্যাট ও প্লট কেনা এবং বিপুল পরিমাণ অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এসব সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টাও করছেন। -
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম এবং তার পরিবার
তার, স্ত্রী হাসু ইসলাম, ছেলে ধানাদ ইসলাম এবং মেয়েরা—ফারাহ ইসলাম ও শামা ইসলামের বিদেশযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। -
ফেনী-৩ আসনের সাবেক এমপি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। -
সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ
ঘুষ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্তত ৫৫ হাজার রোহিঙ্গাকে জাতীয় ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগে তার বিদেশযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। -
সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার
তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান চলছে। আদালত তার বিদেশযাত্রার পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্রও অকার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। -
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্য
মুন্নী সাহা, তার স্বামী কবির হোসেন, মা আপেল রানী সাহা, ভাই প্রণব কুমার সাহা এবং তপন কুমার সাহার বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে তদন্ত চলছে।
দুদকের ভাষ্য, এসব ব্যক্তি যদি দেশত্যাগ করেন, তাহলে তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে। এজন্য আদালতের মাধ্যমে তাদের বিদেশযাত্রা ঠেকানো হয়েছে।