মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের অধীনে মার্কিন সরকারের নানা কার্যক্রমে পরিবর্তন আনার জন্য বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের কিছু শহরের টেসলা শোরুমে জমায়েত হয়েছে প্রতিবাদকারীরা। তারা মাস্কের নেতৃত্বাধীন নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সির (DOGE) বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এই পদক্ষেপে মাস্ক সরকারি নানা সংস্থার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন এবং ব্যয় কমানোর চেষ্টা করছেন।
মাস্কের প্রায় ৩৪০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ সম্পত্তির অধিকাংশই টেসলা কোম্পানির শেয়ারে রয়েছে। মাস্কের এসব পদক্ষেপের প্রতিবাদে ‘টেসলা টেকডাউন’ আন্দোলন গড়ে উঠেছে। এই আন্দোলনে সঙ্গে যোগ দিয়েছেন টেসলা গাড়ির ক্ষুব্ধ মালিকরা, অভিনেতা জন কুসাক, এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য জেসমিন ক্রোকেট।
প্রথমবারের মতো শনিবার ২৭৭টি টেসলা শোরুম এবং সেবা কেন্দ্রের বাইরে সমবেত হয় প্রতিবাদকারীরা। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে ৫০০-১০০০ জন প্রতিবাদকারী মাস্কের পদত্যাগ দাবি করেন।

লন্ডনে টেসলার শোরুমের বাইরে কিছু প্রতিবাদকারী মাস্কের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং গাড়ির হর্ন বাজিয়ে সমর্থন জানান। কেউ কেউ টেসলা গাড়িতে আগুন দিয়েও প্রতিবাদ করেছে, যা মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি ‘ডোমেস্টিক টেরোরিজম’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এদিকে, প্রতিবাদকারীরা শান্তিপূর্ণ থাকার আহ্বান জানালেও, জার্মানিতে কিছু টেসলা গাড়িতে আগুন দেওয়ার খবর এসেছে, তবে সেটা এই আন্দোলনের সাথে সম্পর্কিত কিনা তা নিশ্চিত হয়নি।