Ridge Bangla

ঈদ উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জিরা

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার দর্জিপাড়ায় ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কুষ্টিয়ার নবাব সিরাজুদ্দৌলা সড়ক ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

আসন্ন ঈদ ঘিরে খুব সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছেন দর্জিরা। যেন তাদের দম ফেলারও ফুরসত নেই। মাস্টার ও কারিগরদের এই ব্যস্ততা চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। কুষ্টিয়ার ক্লাসিক টেইলর্সের মাস্টারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, প্রথমদিকে তেমন কাজ ছিল না, তবে দশ রোজার পর থেকে ভিড় বেড়েছে। এখন পর্যন্ত শতাধিক অর্ডার জমা পড়েছে। প্রতিটি থ্রি-পিস ও পাঞ্জাবি তৈরিতে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা, প্রতিটি শার্টে ৪৫০ টাকা, আর প্যান্ট তৈরিতে ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগের মতো আর কারিগর পাওয়া যাচ্ছে না এ কাজে। ১১ মাস পর কাজের চাপ বেড়েছে, যা চাঁদরাত পর্যন্ত চলবে। রমজান চলে গেলে কাজ কমে যাবে, তখন অনেক দিন একটাও কাজ থাকে না। অনেকেই দর্জির কাজ ছেড়ে দিয়েছেন।

দর্জিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেকোনো উৎসব বা ঈদে মানুষ সাধারণত দুই ধরনের পোশাক পছন্দ করেন। একটি হলো তৈরি পোশাক, আরেকটি নিজের ইচ্ছে মতো ডিজাইন ও রুচিশীল পিস বা সিট কাপড় কিনে দর্জি দিয়ে বানানো পোশাক।

এই কাজ শিখতে সময় বেশি লাগে, তৈরি পোশাকের দাপট, বছরের অন্যান্য সময়ে কাজ না থাকাসহ নানা কারণে কারিগরের সংকটের কথা জানিয়েছেন কুমারখালী এই দর্জি। এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “সরকারিভাবে দর্জিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পোশাক তৈরির এই প্রাচীন পেশাকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।”

আরো পড়ুন