রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি. যা এখন দুর্নীতি, অনিয়ম ও পেশাদারিত্বের ঘাটতির গভীর সংকটে নিমজ্জিত। প্রকল্পের ডিজাইন প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর ডিজাইন ডকুমেন্টে কাস্টমার বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের কোনো স্বাক্ষর নেই।
প্রতিদিন শতাধিক ‘টেকনিক্যাল সলিউশন’ প্রদান করা হচ্ছে, যা প্রকল্পের মূল ডিজাইন থেকে বিচ্যুতির ইঙ্গিতবাহী। কন্ট্রাক্টররা দাবি করছেন- তারা মস্কো থেকে ডিজাইন পরিবর্তনের অনুমোদন নিয়ে আসেন, যা একটি জটিল প্রক্রিয়া, এবং তাদের এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এখন পর্যন্ত তিন হাজারেরও বেশি টেকনিক্যাল সলিউশন প্রদান করা হয়েছে।
ড. মোঃ জাহেদুল হাছান একাধারে প্রকল্প পরিচালক, এনপিসিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত), স্টেশন ডিরেক্টরসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। এই বিশাল দায়িত্ব এক ব্যক্তির পক্ষে যথাযথভাবে পালন করা অসম্ভব হলেও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তিনি এই অবস্থান ধরে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংকটের শুরুটা ১৬ এপ্রিল ২০২৪-এ। ড. জাহেদুল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের নতুন প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নিয়োগের পেছনেও বিরাট আর্থিক লেনদেনের কথা জানা যায়। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে সরাসরি পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার সংশ্লিষ্টতার কথাও দাবি করেছেন অনেকে। তবে কমপক্ষে সংশ্লিষ্ট চার-পাঁচজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে চাকরি হারানোর ভয়ে সবাই বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে নানা অস্বচ্ছতা, অনিয়ম ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তিনি শুরু থেকেই সমালোচিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা রিজ বাংলাকে, জানিয়েছেন, “ফিজিবিলিটি ইভ্যালুয়েশন, ডিজাইন ডকুমেন্টেশন, প্রথম পর্যায়ের কাজের চুক্তি থেকে শুরু করে মূল নির্মাণকাজের জেনারেল কন্ট্রাক্ট তৈরির সময় তার অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত হলে এতদিনে তার চাকরি চলে যাওয়ার কথা। কিন্ত তিনি সব অনিয়ম করেও বহাল তবিয়তে টিকে আছেন।”
পাশাপাশি নিউক্লিয়ার ফুয়েল সরবরাহ থেকে শুরু করে আন্তঃরাষ্ট্রীয় ঋণ এবং ব্যবহৃত ফুয়েল ফেরত চুক্তির পুকুর চুরির ক্ষেত্রেও তার নাম আসছে সবার আগে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা রিজ বাংলাকে বলেন, “রূপপুর পরমাণু প্রকল্পের সূচনালগ্ন থেকে উপ-প্রকল্প পরিচালক হিসেবে যুক্ত থেকে নানা অনিয়মের জাল বিস্তার করেন জাহেদুল হাছান। কিন্ত সরাসরি শেখ রেহানার সঙ্গে সম্পর্কের সূত্র ধরে কেউ তার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনি।”
বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে। এর মধ্যে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ববি হাজ্জাজ।
সম্প্রতি ভেন্টিলেশন সিস্টেম ও ইকুইপমেন্ট ইন্সপেকশন নিয়ে যে ভয়াবহ দুর্নীতির কথা চাউর হয়েছে, সেটার সাথেও এসেছে জাহেদুল হাছানের নাম। ২০১৮ সালে রাশিয়া থেকে আনা ইকুইপমেন্টের ইনস্টলেশন ও ইনস্পেকশন নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু হয়। কিন্ত সেখানে রাশিয়া ও বাংলাদেশের অনেকে জড়িয়ে পড়েছে দুর্নীতিতে। পরমাণু প্রকল্পের ভেন্টিলেশন সিস্টেম যেমন নিয়ম বহির্ভূত, পাশাপাশি তার ইকুইপমেন্ট যাচাই সংক্রান্ত কমিটির দুর্নীতি ভয়াবহরকম প্রাণঘাতী ঝুঁকি তৈরি করছে।
অভিযোগ রয়েছে, জাহেদুল হাছান তার ভাতিজা রুহুল আমিনকে অনৈতিকভাবে চাকরি দিয়েছেন। ২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ৮৪ বার বিদেশ সফর ও টিএ-ডিএ বিল উত্তোলনের অভিযোগ আছে। দাবি করা হয়, তিনি প্রকল্পের ব্যয়ে রাশিয়ায় বাসা ভাড়া করে থেকেছেন এবং দেশে ফিরে একই ভ্রমণের জন্য পুরো টিএ-ডিএ উত্তোলন করেছেন। এসব ক্ষেত্রে মোট বিল আনঅফিসিয়াল হিসেবে ৩০ কোটি টাকার মতো, যা অভ্যন্তরীণ তদন্তের দাবি রাখে।
সরকারি ব্যয়ে রাশিয়ায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১,৪০০ জন দক্ষ জনবল থাকা সত্ত্বেও তাদের প্রায় অকেজো করে রেখে রাশিয়ান কোম্পানিসমূহের সাথে দীর্ঘমেয়াদি (Extensive Operation & Maintenance) চুক্তির পথে অগ্রসর হবার অভিযোগ রয়েছে ড. জাহেদুলের বিপক্ষে। এই অবস্থানের সমালোচনা করলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে শোকজ, স্ট্যান্ড রিলিজ, ট্রান্সফার, এমনকি প্রবেশাধিকার বাতিল নিয়মিত ব্যবহৃত হচ্ছে বলে রিজ বাংলাকে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী।
প্রচুর অর্থকড়ির বিনিময়ে জাহেদুল হাছান রাশিয়ার ঠাণ্ডা আবহাওয়ার উপযোগী করে তৈরি করা ভেন্টিলেশন সিস্টেম বাংলাদেশের জন্যও সরাসরি অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য নানা সূত্র। কিন্ত বাংলাদেশের গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় সেই ভেন্টিলেশন সিস্টেম মোটেও কার্যকর নয়, এবং নির্মাণকাল থেকেই তা ভয়াবহ পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি করছে। এই অব্যবস্থাপনার ফলে ভবিষ্যতে যেকোনো মুহুর্তে ভয়াবহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। প্ল্যান্টের গুরুত্বপূর্ণ নানা যন্ত্রপাতি বর্তমানে ঠিকমতো কাজ করছে না। বর্তমানে শতাধিক পোর্টেবল এসি ও স্প্লিট এসি বসিয়ে এই সমস্যা সাময়িকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদী কোনো সমাধান নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একজন রিজ বাংলাকে জানিয়েছে, “এর ফলে পুরো সিস্টেম পুনরায় পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়বে, যার খরচ দাঁড়াবে প্রায় ৮০০-৮৫০ মিলিয়ন ডলারে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধু অপেশাদার নয়, জাতীয় সম্পদের চরম অপচয়ও।”
পরমাণু কেন্দ্রের কয়েকজন সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, “রাশিয়ার ঠাণ্ডার উপযোগী এই ভেন্টিলেশন সিস্টেমের পরিবর্তন বাদে বিকল্প কোনো পথ নাই। কিন্ত সেটা জোর করে হতে দেওয়া হবে না। কারণ এই পরিবর্তন আনতে গেলে পুরো ডিজাইনই পরিবর্তন করতে হবে। এমনিতেই চুল্লি নির্মাণের সময় ভেঙে পড়াসহ নানা ব্যাপারে ব্যয় বৃদ্ধিতে প্রশ্নের সম্মুখীন এই প্রকল্প সময়, অর্থ ও কৌশলগত দিক থেকে ক্ষতির সম্মুখীন। পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য এই রূপান্তর প্রায় অসম্ভব।”
বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগসাজশ করে নামে-বেনামে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিক হওয়ার অভিযোগও রয়েছে জাহিদুল হাছানের নামে। তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে শেখ হাসিনার সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোকদের একজন ছিলেন ড. জাহেদুল। তাকেই এখন দেখা যায় নিজেকে বিএনপিপন্থী হিসেবে দাবি করতে।
সামান্য ক্যান্টিন বিষয়ক টেন্ডারেও হস্তক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে ড. জাহেদুলের বিপক্ষে। মনোনীত প্রতিষ্ঠানকে জেতানোর জন্য টেকনিক্যাল কমিটির মত উপেক্ষা করে টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে আহ্বান, লোয়েস্ট বিডার প্রতিষ্ঠানের দরদাম ফাঁস করে মনোনীত প্রতিষ্ঠানকে বিড করানোর নথিপত্র হাতে এসেছে রিজ বাংলার।
প্রকল্পে মিড-ম্যানেজমেন্ট পর্যায়ে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অনেকেরই পারমাণবিক প্রকল্প সম্পর্কিত কোনো একাডেমিক বা বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই। সার্কুলারে বর্ণিত অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া অভিজ্ঞতা দেখিয়ে অনেকে নিয়োগ পেয়েছেন।
ড. মোঃ জাহেদুল হাছানের অদূরদর্শী পরিচালনা ও চরম অব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে নানা ধরনের সংকটে নিমজ্জিত। প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান সংকটসমূহ সমাধান না করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিথ্যা আশ্বাস প্রদান, অযথা কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান, সিন্ডিকেট তৈরির মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক ফ্যাসিবাদ কায়েম এবং অব্যাহত অপেশাদার আচরণে প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক, সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলাফলস্বরূপ, এনপিসিবিএল-এর গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম চরম বিঘ্নিত হচ্ছে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে, কোম্পানি গঠনের প্রায় দশ বছর অতিক্রান্ত হলেও কোম্পানির সার্ভিস রুল প্রকাশ করা হয়নি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অতি স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল বিবেচনায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ বিষয়টি বহুবার সুসংগঠিতভাবে উপস্থাপন করলেও তা নিয়ে ফলপ্রসূ কোনো অগ্রগতি হয়নি।
গত আগস্ট-২০২৪-এ সার্ভিস রুল, এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীর মতো বিষয়সহ নানাবিধ বিষয় নিয়ে বর্তমান প্রকল্প পরিচালক ও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (একই ব্যক্তি) সাথে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় সকলে তাদের সমস্যাগুলো কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই উপস্থাপন করলেও ঢাকায় পৌঁছে প্রকল্পের নিরাপত্তায় দায়িত্বশীল সেনাবাহিনীর কাছে অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায় দিয়ে ২৩ জন কর্মকর্তার ‘প্রবেশ কার্ড ব্লক’ করে প্রকল্পে তাদের প্রবেশাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে প্রকল্পে এসে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে উপস্থাপন করেন যে, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের নিজ সিদ্ধান্তে উক্ত কর্মকর্তাদের ‘কার্ড ব্লক’ করেছে। দীর্ঘ ৭২ দিন পরে ‘প্রবেশ কার্ড ব্লক’কৃত কর্মকর্তাদের প্রবেশাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আগস্ট-২০২৪-এর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে প্রায় ত্রিশটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অধিকাংশ সভাতেই বর্তমান ড. জাহেদুল হাছান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্রমাগত চাকরি থেকে বিতাড়িত করার হুমকি প্রদান করেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন অযৌক্তিক ইস্যু তৈরি করে ইচ্ছাকৃতভাবে গত আট মাসে ৩০০ জনেরও অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে, যা কেবলমাত্র একজন ব্যক্তির (ব্যবস্থাপনা পরিচালকের) নির্দেশনায় সংঘটিত হয়েছে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে এনপিসিবিএল-এর বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ জাহেদুল হাছানের পরিবর্তে অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট সেক্টরে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, দক্ষ ও স্থায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য এনপিসিবিএল এর চেয়ারম্যান বরাবর প্রাতিষ্ঠানিক আবেদন জানিয়েছেন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড এর সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। সেখানে সংযুক্তি হিসেবে রয়েছে এনপিসিবিএল-এর প্রায় ১১০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের স্বাক্ষরসহ নামের তালিকা।
দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই প্রকল্পে চলমান অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই প্রকল্পের সকল কার্যক্রম পুনর্বিবেচনা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।