২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার তৎকালীন উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। শনিবার (৩ মে) নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ওই ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন এবং বেশ কিছু অজানা তথ্য প্রকাশ করেছেন।
আজাদ লেখেন, “যখনই হেফাজতে ইসলামের কোনো বড় ধরনের সমাবেশ দেখি, তখনই মনে পড়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য শাপলা চত্বর গণহত্যার তদন্তে কাজ করার স্মৃতি। পুরো বিশ্ব তখন বিভ্রান্ত ছিল কতজন নিহত হয়েছেন তা নিয়ে। এমন সময় ঢাকাভিত্তিক সাবেক বিবিসি সংবাদদাতা মার্ক ডামেটের সঙ্গে একত্র হয়ে আমরা অনুসন্ধান শুরু করি।”
তার ভাষ্যমতে, দুই দিনব্যাপী ওই সহিংসতায় অন্তত ৫৮ জন নিহত হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে সাতজন ছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
তিনি আরও লেখেন, “সেই সময়টা ছিল ভয়ংকর কঠিন। দুই সপ্তাহ ধরে রাস্তায় ঘুরেছি, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে খোঁজ করেছি, নিহতদের পরিবারের সাক্ষাৎ নিয়েছি, প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য শুনেছি এবং দাফনের প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। প্রতিটি মুহূর্তে ভয়ের সঙ্গে কাজ করেছি, যদি নিরাপত্তা বাহিনীর চোখে পড়ে যাই, যদি নিখোঁজ হয়ে যাই!”
আজাদ জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে এতদিন তিনি এ কাজের জন্য প্রকাশ্যে কোনো স্বীকৃতি নেননি। তবে কেউ যখন তাঁর তথ্য ব্যবহার করে, তখন তিনি এক অনির্বচনীয় সন্তুষ্টি অনুভব করেন।
তিনি এই স্মৃতিচারণ করেন হেফাজতে ইসলামের আয়োজিত চার দফা দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিপুলসংখ্যক কর্মীর উপস্থিতি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে।