ভারতের এক নারী চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন যে, ১১ বছর আগে মারা যাওয়া স্বামী নিয়মিত তার স্বপ্নে আসতেন এবং সেই ‘স্বপ্ন-সম্পর্ক’ থেকেই তিনি গর্ভধারণ করেছেন। কয়েক মাস আগে শারীরিক অসুস্থতার পরীক্ষায় গর্ভধারণ ধরা পড়ার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকাল ইন এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্বামীর মৃত্যুর পর ওই নারী একাই বসবাস করছিলেন এবং অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াননি। তার ভাষ্য, দীর্ঘদিন ধরে মৃত স্বামী স্বপ্নে এসে গল্প করা, খাওয়াসহ সময় কাটাতেন; এই সময়েই তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন।
ঘটনাটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক কৌতূহল ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কেউ একে ‘অলৌকিক’ বলে অভিহিত করেছেন, আবার কেউ একে সম্পূর্ণ অবিশ্বাস্য বলে মন্তব্য করেছেন। অনেকেই বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে ডিএনএ পরীক্ষার দাবি তুলেছেন।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গর্ভধারণের জন্য নারীর ডিম্বাণুর সঙ্গে পুরুষের শুক্রাণুর মিলন অপরিহার্য, যা স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্ক বা সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তি (যেমন আইভিএফ) ছাড়া সম্ভব নয়। কেবল স্বপ্ন বা আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার মাধ্যমে গর্ভধারণের কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
বিশ্বে অবশ্য মৃত স্বামীর সংরক্ষিত শুক্রাণু ব্যবহার করে সন্তান নেওয়ার নজির রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৫ সালে লরা অরিকো নামে এক নারী স্বামীর মৃত্যুর ১০ বছর পর সংরক্ষিত শুক্রাণু ব্যবহার করে গর্ভধারণের খবর দেন। ভারতে কেরালার এক নারীও স্বামীর মৃত্যুর এক বছর পর ফ্রোজেন এমব্রিও ব্যবহার করে যমজ সন্তানের জন্ম দেন। যুক্তরাজ্যের ডায়ান ব্লাড মামলায় মৃত স্বামীর শুক্রাণু ব্যবহারের আইনি স্বীকৃতি দিয়ে ঐতিহাসিক রায় হয়েছিল।