ভোরের আলো ফোঁটার অনেক আগেই বাইক যোগে গাজীপুর থেকে রওনা দিয়েছেন আমাদের একজন প্রতিবেদক। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে শুরু করে চন্দ্রা পর্যন্ত ভয়াবহ যানজট ঠেলে কোন রকমে মূল সড়কে ওঠার পর দেখা গেল প্রতিটি স্থান বেশ গোছালো, রয়েছে ব্যবস্থাপনার নজির।
প্রতিবারই ঈদযাত্রায় নানা স্থানে গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি এবার কমেছে। সেনাসদস্যদের নিয়মিত টহল এবং পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তুলনামূলক আন্তরিকতা এবারের ঈদযাত্রার যন্ত্রণা কমিয়েছে অনেকাংশে। যমুনা সেতুর কাছে প্রতিবার যে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়, তা এবার কমে গেছে উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার কারণে। মূল বুথের পাশাপাশি আশেপাশে আরও অনেকগুলো বুথে টোল আদায়ের কারণে এক জায়গায় গাড়ি চাপ বাড়ছে না। ফলাফল হিসেবে যানজট অনেকাংশে কমে গেছে। বাইক নিয়ে যাওয়ার পরে আমাদের নির্দিষ্ট একটি স্থানে বুথে টোল দিতে হয়েছে।

মূল সড়কে অন্য যানবাহনের সাথে প্রতিযোগিতা না করে বাইক আলাদা লাইন দিয়ে যাওয়াতে সুদীর্ঘ লাইন হলেও সেখানে কোনো যানজট নেই। পাশাপাশি বাইকাররা এলোপাথাড়ি গিয়ে অন্য গাড়ির যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারছে না। এর ফলে অনেকাংশে যানজট কমে গেছে।
প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরেও ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ফলে উত্তরের জেলাগুলোর প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু সংযোগ মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে এই মহাসড়কে এখন পর্যন্ত যানজটের ঘটনা ঘটেনি
হাইওয়ে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবারের চেয়ে বুধবার মহাসড়কে যানবাহনের চাপ আরও বেড়ে গেছে। যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের হিসেবে- সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যমুনা সেতুতে গতকাল টোল আদায় হয় ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এবারের ঈদযাত্রায় টোল প্লাজার সামনে যাতে যানজট না হয় সেজন্য যমুনা সেতুর দুই প্রান্তে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথ দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে।

অনেকে মনে করছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতার ফলে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার এই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, সেনাবাহিনীর সক্রিয় অবস্থান অনেক ক্ষেত্রে সড়ক ও মহাসড়কের নানা অরাজকতা দূর করতে ভূমিকা রাখছে।