দেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন এবং দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি রায়ের ভিত্তিতে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। এই সিদ্ধান্তকে তারা “কালো রিট” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
বাকি দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. ২০২১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত বিতর্কিত সব ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের দ্রুত কারিগরি অধিদপ্তর ও প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অপসারণ করতে হবে।
২. চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে প্রতি সেমিস্টার পূর্ণ ৬ মাসের হতে হবে।
৩. কোর্সের সিলেবাস কর্মমুখী ও যুগোপযোগী করে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে।
৪. উপসহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) পদে শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা আবেদন করতে পারবেন। এই নীতি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে মনোটেকনিক ও সার্ভেয়িং শিক্ষার্থীদের জন্যও এই পদের সুযোগ দিতে হবে।
৫. কারিগরি শিক্ষা সিস্টেম সংস্কার করে, টেকনিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যক্তিদের দিয়ে এই খাত পরিচালনার দাবি জানানো হয়েছে।
৬. কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সব শূন্যপদে টেকনিক্যাল জনবল নিয়োগ দিতে হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে ছাত্র এবং শিক্ষক প্রতিনিধি রাখার দাবিও জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে আগামী দিনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।