ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটকদের আনন্দ-উল্লাসে মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেও সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে উপচে পড়া ভিড়। শুধু সমুদ্র সৈকতই নয়, ইনানীর পাথুরে সৈকত, দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক ও রামুর বৌদ্ধ মন্দিরেও পর্যটকদের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখর পরিবেশ।
লাবণী পয়েন্ট থেকে শুরু করে মেরিন ড্রাইভের ইনানী পর্যন্ত পর্যটকের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আগত দর্শনার্থীরা সাগরের নীল জলরাশিতে মেতে উঠেছেন আনন্দে। হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসগুলোও ইতোমধ্যে পর্যটকে ভরে গেছে। কক্সবাজারের ৫১৬টি হোটেল-মোটেলের প্রায় ৮০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, টানা ৯ দিনের ছুটির সুবাদে চাকরিজীবী ও সাধারণ মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাগর-পাহাড়ের সম্মিলনে কক্সবাজার বরাবরই ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের গন্তব্য।
ব্যবসায়ীদের ধারণা, ঈদের এই পাঁচদিনে গড়ে প্রতিদিন দেড় লাখ করে মোট সাড়ে সাত লাখ পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে পারেন।
রাজশাহী থেকে আগত এক পর্যটক সৈকত হাসান বলেন, “ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে এসে খুব ভালো লাগছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও সাগরের নোনাজলে পা ভেজাতে পেরে আমরা খুবই খুশি।“
সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সাগরপাড়জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে যাতে সবাই নিশ্চিন্তে উপভোগ করতে পারেন ঈদের আনন্দ।