Ridge Bangla

চাঁদপুরে ৭০০ গ্রাম ইলিশের মণ ১ লাখ টাকা, নদীতে ইলিশের আকাল

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরা শুরু হলেও নদীতে তেমন ইলিশ মিলছে না জেলেদের জালে। ফলে বাজারে ইলিশের দাম চরম ঊর্ধ্বমুখী—৭০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ এখন প্রতিমণ ১ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নদীতে নেমে হাজারো জেলে ইলিশের আশায় জাল ফেললেও অধিকাংশই খালি হাতে ফিরছেন।

বুধবার (৭ মে) দুপুরে সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা থেকে আনা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ইলিশ মিলছে খুবই কম। বরফ ছাড়াই তাজা ইলিশ কিনতে সকাল থেকেই ভিড় করছেন ক্রেতারা।

মাছঘাটের প্রবীণ ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বলেন, “তিন দশক ধরে মাছের ব্যবসা করছি। আজ ৭০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ ১ লাখ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। ইলিশের এমন আকাল আগে খুব কমই দেখেছি।”

জেলে আরিফ হোসেন বলেন, “সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নদীতে ছিলাম। কিছু পোয়া, শিলন, বাটা আর কয়েকটা জাটকা পেয়েছি, সব মিলিয়ে বিক্রি করেছি মাত্র ৭০০ টাকায়।”

জেলে মোসলেহ উদ্দিন জানান, “৪ জন মিলে নদীতে ছিলাম। মাত্র ২ কেজি চিংড়ি পেয়েছি, বিক্রি করেছি ৮০০ টাকায়। জ্বালানির খরচও উঠেনি।”

ঢালীরঘাট থেকে ইলিশ কিনতে আসা রুবেল সর্দার বলেন, “ইলিশ না পেয়ে পোয়া মাছ কিনেছি ১ হাজার টাকায়।” আরেক ক্রেতা জয়নুল ইসলাম বলেন, “প্রতি বছর হরিণা ঘাট থেকে তাজা ইলিশ কিনি, কিন্তু এবার খুবই কম। দামের কারণে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে।”

ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল বলেন, “এই সময়ে ইলিশ সাধারণত কমই পাওয়া যায়। নদীতে পানি বাড়লে এবং বৃষ্টি হলে ইলিশের পরিমাণ বাড়তে পারে। আপাতত ছোট মাছেই আড়তের কাজ চলছে।”

চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, “জাটকা রক্ষায় গত নভেম্বর থেকে কঠোর অভিযান ছিল। এখন ইলিশ কম হলেও এর সুফল জেলেরা সামনে ভরা মৌসুমে পাবে।”

আরো পড়ুন