বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) গত ১৫ বছরের দুর্নীতি, নির্যাতন ও প্রশাসনিক অনিয়ম তদন্তে গঠিত ২৬ সদস্যের গণতদন্ত কমিশনের আট মাস পার হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এতে অভিযোগকারীদের মধ্যে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষরে কমিশন গঠিত হয়। অধ্যাপক জিএম মুজিবর রহমান চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান সরকার সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
প্রথম ধাপে গত ৯ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। কমিশনের সদস্য সচিব জানান, শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে, তবে অনেক অভিযোগ চিরকুট ধরনের হওয়ায় গুরুত্ব পাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, তিন-চারটি বড় অভিযোগ নিয়ে কাজ চলছে এবং ইতোমধ্যে ৭০ জনের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের অনেকে অবসরে গেছেন বা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে গেছেন, তাই তদন্তে সময় লাগছে।
তবে অভিযুক্তদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সমঝোতার অভিযোগ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেন। তদন্ত কাজ চলমান এবং শিগগিরই অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে বলেও জানান তিনি।