Ridge Bangla

হজের সফরে মদিনায় করণীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ

পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে আগত মুসলিমদের জন্য মদিনা মনোযুগ দিয়ে জিয়ারত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের জন্য মদিনায় যাওয়া শুধু ভক্তির প্রতীকই নয়, বরং কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদব ও আমলও অনুসরণ করা উচিত।

মদিনায় রওনা দেওয়ার সময় এবং পুরো যাত্রাকালেই বেশি বেশি দরুদ শরিফ পড়া সুন্নত। মদিনায় পৌঁছে হোটেলে উঠে ফ্রেশ হয়ে মসজিদে নববিতে প্রবেশের সময় ‘বিসমিল্লাহি ওয়াস্‌সালাতু ওয়াস্‌সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আল্লাহুম্মাগফির লি জুনুবি ওয়াফতাহ লি আবওয়াবা রহমতিকা’ দোয়াটি পাঠ করে ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে এবং ইতেকাফের নিয়ত করা উত্তম।

সুযোগ থাকলে মসজিদে নববির বিশেষ ফজিলতপূর্ণ স্থান ‘রিয়াজুল জান্না’য় দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ আদায় করবেন। এরপর নবীজি (সা.)-এর রওজার সামনে গিয়ে সালাম পেশ করবেন, “আসসালামু ‘আলাইকা আইয়্যুহান্‌নবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।”
এরপর হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও হজরত উমর ফারুক (রা.)-এর প্রতিও সালাম জানাবেন।

মদিনায় অবস্থানকালে প্রতিদিন দরুদ শরিফ পাঠ করা এবং রওজা মোবারকে গিয়ে সালাম পেশের চেষ্টা করা উচিত। এছাড়া কিছু নির্দিষ্ট স্থান যেমন—মসজিদে কুবা, উহুদ পাহাড় ও শহীদদের কবরস্থান, জান্নাতুল বাকি কবরস্থান—জিয়ারত করা সুন্নত হিসেবে বিবেচিত।

বিশেষভাবে মনে রাখা দরকার, রওজার দেয়াল স্পর্শ করা, চুমু দেওয়া বা জড়িয়ে ধরা অনুচিত ও নিষিদ্ধ কাজ। এতে আদব লঙ্ঘনের শামিল হয়।

মদিনা থেকে বিদায়ের সময় রওজায় আবার সালাম পেশ করে, দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে চোখের জলে বিদায় নেওয়া সুন্নত। নিজ শহরে ফিরে এলে নবীজির শেখানো দোয়া—“আয়িবুনা, তায়িবুনা, ‘আবিদুনা, লি রব্বিনা হামিদুনা”—পাঠ করবেন।

আরো পড়ুন