বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি সম্ভাব্য নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী ২৯ থেকে ৩১ মে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৫০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারতেও আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, যদি ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা অঞ্চল দিয়ে উপকূলে আঘাত হানে, তবে উত্তরাঞ্চল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্যদিকে বরিশাল বা চট্টগ্রাম অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করলে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল দুর্যোগের মুখে পড়বে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমীবায়ু ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছেছে। আগামীকাল উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা নিম্নচাপে রূপ নেবে এবং এরপরই ঘূর্ণিঝড়ের রূপ ধারণ করবে। শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম অনুযায়ী এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘শক্তি’।
এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। উপকূলীয় এলাকায় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে।
আবহাওয়াবিদরা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং নিয়মিত আবহাওয়া আপডেট অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।