ঢাকার চারপাশের ৪টি নদী—বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা—দখল ও দূষণমুক্ত করতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শুক্রবার (২৩ মে) রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় জাতীয় নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে নোঙ্গর ট্রাস্ট আয়োজিত ‘জীবন নদী’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী চিত্র প্রদর্শনীর এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় প্রাথমিকভাবে তুরাগ নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ শুরু করতে যাচ্ছি এবং এ লক্ষ্যে একটি চূড়ান্ত কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “নদীর মধ্যে থাকা অবৈধ দখল উচ্ছেদ, ড্রেজিং, নদীর সীমানা নির্ধারণ ও শিল্পকারখানার দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি।”
তিনি জানান, ঢাকার জলাবদ্ধতা কমাতে ১৯টি খাল দখলমুক্ত ও পরিষ্কারের জন্য স্বল্প ব্যয়ে ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে।
এছাড়া দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে নদীর তালিকা সংগ্রহ করে তা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকা থেকে ১১টি নদী বাছাই করে বিশেষ পরিকল্পনায় কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
‘জীবন নদী’ প্রদর্শনীর গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “এ ধরনের প্রদর্শনীর মাধ্যমে নদী ও পরিবেশ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়বে। জনগণ সোচ্চার হলে সরকারও নিষ্ক্রিয় থাকতে পারবে না।”
জাতীয় নদী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ‘জীবন নদী’ প্রদর্শনীর ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন এবং চিত্রকর্ম পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি তিনি নদী কর্মীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক সাইকেল র্যালিরও উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নোঙ্গর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সুমন শামস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ওয়ারপোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, হাওর অঞ্চলবাসী সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক জাকিয়া শিশির এবং সাকুরা স্টিল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাহিম আহমেদ রিপন।