প্রচণ্ড তাপদাহে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে জনজীবন। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে আরও অস্বস্তিকর। দেশের প্রায় ৬০টি জেলায় মৃদু থেকে শুরু করে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার (১২ মে) থেকে দেশের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, সারাদেশের মানুষকে স্বস্তির বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে পুরো সপ্তাহজুড়ে।
শনিবার (১০ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শরীরে অনুভূত গরম (ফিল লাইক) এর চেয়েও বেশি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি হলে সেটি মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি হলে সেটি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়। সে অনুযায়ী, দেশে এখন মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুর ইসলাম জানান, “তাপপ্রবাহ ১২ মে’র কাছাকাছি সময়ে কিছুটা প্রশমিত হতে পারে। তবে তৎক্ষণাৎ পুরোপুরি তাপপ্রবাহমুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে কমে আসতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “তাপমাত্রা বেশি থাকায় বাতাসে জলীয় বাষ্প কমে যাচ্ছে, ফলে আর্দ্রতা হ্রাস পাচ্ছে। সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমলে আর্দ্রতা বাড়বে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে এখনো পূর্ণ বৃষ্টির পরিবেশ তৈরি হয়নি।”
মে মাসকে ঘূর্ণিঝড়প্রবণ মাস হিসেবে বিবেচনা করা হলেও, আগামী ১০ দিনের মধ্যে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।