ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। মাঠভরা পাকা ধান কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছিল, কিন্তু মৌসুমের শেষ দিকে অতিবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে সেই আশায় পানি ঢেলেছে।
উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠ এখন সোনালি ধানে ভরা। কৃষকেরা ধান কাটার প্রস্তুতি নিলেও ঝড়-বৃষ্টির কারণে অনেক জমির ধান জমিতেই পড়ে গিয়ে পচে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৮ হাজার ১২৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরও বেশি ধান ঘরে তোলা সম্ভব হতো বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
দপদপিয়া ইউনিয়নের তিমিরকাঠী গ্রামের কৃষক লুৎফর সিকদার বলেন, “ফলন ভালো হয়েছিল, কিন্তু হঠাৎ অতিবৃষ্টিতে অনেক ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বড় ক্ষতি হবে।” একইভাবে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক জামাল তালুকদার জানান, “বাম্পার ফলনের আশায় ছিলাম, কিন্তু এখন লোকসানের আশঙ্কা।”
উপকৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাওলাদার বলেন, “ধানে রোগবালাই হয়নি, ফলনও সন্তোষজনক। তবে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় জমির ৭০-৮০ শতাংশ ধান পাকার সঙ্গে সঙ্গেই কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
এই অবস্থায় কৃষকেরা দ্রুত ধান কাটার জন্য সরকারি সহায়তা ও সম্ভাব্য ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন। অনেকে বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিশ্রম বৃথা গেলে তারা চাষাবাদে আগ্রহ হারাবেন।