সরকারি সময়সীমা অতিক্রম করেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর না করায় ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-কে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইউজিসির আসন্ন মাসিক সভায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
জানা গেছে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে ১২, এমনকি ১৫–২০ বছর পর্যন্ত সময় পেয়েও স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করেনি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুমোদন বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক অনুমোদনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও তারা এখনও ভাড়া করা ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে রাজধানী ঢাকায়।
স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো:
-
ঢাকা: ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস।
-
অন্যান্য জেলা: নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (সিলেট), ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (কিশোরগঞ্জ), নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি (খুলনা), ফেনী ইউনিভার্সিটি (ফেনী), পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি (চট্টগ্রাম), ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি (কুমিল্লা)।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হুঁশিয়ারি পাওয়ার পর সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে খিলগাঁওয়ে তাদের অর্ধসমাপ্ত ক্যাম্পাস উদ্বোধন করেছে।
আইন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাত বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে হবে। অতিরিক্ত পাঁচ বছর সময় দেওয়ার পরও এটি পূরণ না হলে, ভর্তি নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে অনুমোদন বাতিল পর্যন্ত পদক্ষেপ নিতে পারে ইউজিসি।
