Ridge Bangla

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাবাহিনীর উপস্থিতি: কোথায়, কেন এবং কতটা নিরাপদ

মধ্যপ্রাচ্যে কয়েক দশক ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। এ অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি হচ্ছে কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি, যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। এখানে রয়েছে বিপুল সংখ্যক সেনাসদস্য ও সামরিক অবকাঠামো।

মার্কিন সামরিক ঘাঁটি যেসব দেশে

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে কাতার ছাড়াও বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ইরাক এবং সিরিয়ায়। এসব ঘাঁটিতে সাধারণ সময়ে প্রায় ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন থাকে, যা বড় কোনো সামরিক অভিযানের সময় কয়েকগুণ বাড়ানো হয়।

উল্লেখযোগ্যভাবে, আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধের সময় এই সংখ্যা একসময় ১ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

বর্তমানে সিরিয়ায় প্রায় ২ হাজার এবং ইরাকে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছেন। বাগদাদে মার্কিন সামরিক ইউনিট ‘ফরওয়ার্ড অপারেটিং বেজ (এফওবি)’-তে একটি বড় অংশ অবস্থান করে।

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনার উদ্দেশ্য

সুনির্দিষ্ট একক কোনো কারণে নয়, বরং বহুস্তরীয় কৌশলগত কারণে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মোতায়েন রয়েছে:

  • সন্ত্রাসবাদ দমন: ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান।
  • মিত্রদের সহায়তা: জর্ডান, কাতার ও ইউএই-তে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ ও যৌথ মহড়া।
  • সামরিক প্রস্তুতি: যে কোনো সামরিক অভিযানের জন্য এই অঞ্চল কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় প্রস্তুতি রাখা।
  • বিমান হামলার ঘাঁটি: ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক বিমান হামলায় মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটিগুলো থেকেই উড্ডয়ন করে যুদ্ধবিমানগুলো।

এই ঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তা

বেশিরভাগ ঘাঁটি যেমন কাতার, বাহরাইন, কুয়েত ও সৌদি আরবে অবস্থিত ঘাঁটিগুলো তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও হামলার বাইরেই থাকে। এই ঘাঁটিগুলোতে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।

তবে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিগুলো প্রায়ই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়ে থাকে। ২০২৩ সাল থেকে ইয়েমেন উপকূলে হুথি গোষ্ঠী ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে মার্কিন জাহাজ ও সামরিক স্থাপনাগুলোর দিকে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যদিও এসব হামলায় বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন