বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশের বৈদেশিক ঋণ ৭৪ কোটি মার্কিন ডলার কমেছে। মূলত বিভিন্ন ব্যাংক ও বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান তাদের ডলার ব্যবহারের সীমা কমিয়ে দেওয়ায় অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমে মন্দাভাব দেখা দেয়, যার প্রভাব পড়ে ঋণের পরিমাণে।
প্রতিবেদন অনুসারে, উক্ত প্রান্তিকে সরকারি খাতের ঋণ কমেছে ২১ কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং বেসরকারি খাতের ঋণ কমেছে ৫২ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের বায়ার্স ক্রেডিটেই কমেছে ৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৬৩ কোটি ডলার। যার মধ্যে সরকারি ও আধা-সরকারি দপ্তর মিলে রয়েছে ৮ হাজার ৪২১ কোটি ডলার এবং বেসরকারি খাতে রয়েছে ১ হাজার ৯৪২ কোটি ডলার।
প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ১০ হাজার ৪৩৭ কোটি ডলার। সেখান থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৭৪ কোটি ডলার কমেছে। সেই সময়ে সরকারি খাতে ঋণ ছিল ৮ হাজার ৪৪২ কোটি ডলার এবং বেসরকারি খাতে ছিল ১ হাজার ৯৯৪ কোটি ডলার।