লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে এগিয়ে আনার প্রস্তাবকে ‘গণতন্ত্রের জন্য সুসংবাদ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “জাতি অনেকদিন ধরেই অপেক্ষায় ছিল একটি আশার বার্তার। অবশেষে সেই বহুল প্রত্যাশিত বৈঠকটি একটি টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হয়েছে।”
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় নির্বাচনই ছিল মূল বিষয়। ফখরুল জানান, বৈঠকে তারেক রহমান প্রস্তাব দেন এপ্রিলের পরিবর্তে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন আয়োজনের। ড. ইউনূস তাতে সম্মতি জানান।
ফখরুল বলেন, “এই সমঝোতার মাধ্যমে দেশের মানুষ আশার আলো দেখছে। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।” তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “তারেক রহমান আবারও প্রমাণ করেছেন, তার মধ্যে রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্বের সকল গুণাবলি রয়েছে।”
জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “চলমান সংকট উত্তরণে অতীতের ছোটখাটো ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এই ঐক্যের মাধ্যমেই আমরা নতুন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারব।”
তিনি আরও জানান, বৈঠকের পরপরই তারেক রহমান টেলিফোনে তার সঙ্গে কথা বলেন, দলের শহীদদের স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা জানান এবং খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশকে নতুন গণতান্ত্রিক কাঠামোয় পুনর্গঠনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম।