এই সপ্তাহে কানাডার আলবার্টার রকি পর্বতে অনুষ্ঠিতব্য জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল রাশিয়ার আগ্রাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতি। তবে সম্প্রতি ইসরায়েল কর্তৃক ইরানের ওপর সামরিক হামলার কারণে সম্মেলনের অগ্রাধিকারের তালিকায় বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে।
বিশ্বের সাতটি উন্নত অর্থনীতির এই জোট—যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কানাডা, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্র—এখন এই নতুন সংঘাতকে কেন্দ্র করে কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ওপর প্রভাব রাখার একমাত্র সক্ষম ব্যক্তি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যদিও ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্য অনুমোদন ছাড়াই।
বিশ্বনেতারা উদ্বিগ্ন যে, ইসরায়েল-ইরান সংঘাত বিস্তৃত আকার ধারণ করলে এর প্রভাব পড়বে বৈশ্বিক নিরাপত্তা, জ্বালানি বাজার ও অর্থনীতিতে। বিশেষ করে তেলের দামে হঠাৎ বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রবল।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই উত্তেজনার অবসান ঘটাতে শান্তির আহ্বান জানালেও, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপকে “অসহনীয়” ও “চরম অনুশোচনীয়” বলে মন্তব্য করেছেন। এর বিপরীতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলাটিকে “চমৎকার” বলে অভিহিত করেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সম্মেলনে অভিন্ন অবস্থানে পৌঁছানো জি-৭ নেতাদের জন্য কঠিন হবে, তবে সংকট সামাল দিতে সমন্বিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।