Ridge Bangla

৬ বছরেই জাতীয় পুরস্কার, ২১ বছরেই মৃত্যু! কে এই দক্ষিণী নায়িকা?

জীবনের তুলনা ফুলের সঙ্গে করা হয়ে থাকে, কারণ জীবনও বিকশিত হয়, মুগ্ধ করে এবং এক সময় ঝরে পড়ে। বার্ধক্যে প্রাকৃতিক মৃত্যু সহজে মেনে নেওয়া গেলেও অকালমৃত্যু অনেক বেশি বেদনাদায়ক। মাত্র ২১ বছর বয়সে মণীষা উন্নির দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

অভিনেত্রী মণীষা উনি অল্প বয়সেই দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে পরিচিতি পান। কেরলের কোঝিকোড়ে জন্ম নেওয়া মণীষা একজন নৃত্যশিল্পী মায়ের কন্যা, যার প্রভাবেই তিনি ছোটবেলা থেকে নৃত্যে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। মাত্র ৫ বছর বয়সে নৃত্যকলায় দক্ষতা অর্জন করেন এবং ১৪ বছর বয়সে ‘ভয়া’ নামের একটি তামিল স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে পরিচালক এম. ডি. বাসুদেবন নায়ার তাঁকে পরবর্তী ছবিতে সুযোগ দেন।

মণীষা মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৮৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মলয়ালম চলচ্চিত্র ‘নখক্ষতাঙ্গল’-এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন এবং এই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। প্রথম ছবিতেই সাফল্য অর্জনের পর তিনি একের পর এক ছবিতে কাজের সুযোগ পান। মাত্র ৬ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ২৫টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার অনেকগুলোই হিট হয়। তামিল ভাষার ‘পুক্কল ধুত ধুধু’ ও ‘দ্রাবিড়ন’ তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম।

১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘উন্না নেনাইচেন্নে পাত্তু পাদিচেন’ ছবির জনপ্রিয়তা আজও টিকে আছে। এই ছবিতে অভিনয়ের কিছুদিন পরেই মণীষা এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। ৫ ডিসেম্বর ১৯৯২, মণীষা ও তাঁর মা শ্রীদেবী গাড়িতে যাওয়ার সময় কেরল সরকারি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মণীষার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। তাঁর শেষ ছবি ছিল শরৎকুমারের ‘মুনরাবতী কান’। তাঁর এই অকালপ্রয়াণ চলচ্চিত্র জগতে গভীর শোক ও শূন্যতা তৈরি করে, যা আজও ভক্তদের মন ছুঁয়ে থাকে।

আরো পড়ুন