Ridge Bangla

প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে পরিমার্জন ও মূল্যায়নে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন

প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রকাশ করেছে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ প্রাথমিক স্তর (পরিমার্জিত ২০২৫)’। এই সংস্করণে শিক্ষাক্রমের কাঠামো, পাঠদানের ধরণ ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ব্যাপক রদবদল আনা হয়েছে।

এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও জীবনদর্শনের প্রতিফলনে নতুন দিক উন্মোচনের লক্ষ্যে এ পরিমার্জন করা হয়েছে।

পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিখনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণ, কৌতূহল ও অনুসন্ধিৎসা বাড়ানো, প্রশ্ন করার ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি কল্পনা ও উদ্ভাবনী চিন্তার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যেও শিক্ষাক্রমে সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।

মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও এসেছে বড় পরিবর্তন।

  • প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে।

  • তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ধারাবাহিক মূল্যায়নের সঙ্গে যুক্ত হবে সামষ্টিক মূল্যায়ন।

শিখন অভিজ্ঞতা আনন্দময় ও সহজ করতে শিখন-শেখানো পদ্ধতি, মূল্যায়ন ও বিষয়বস্তুর নির্বাচনেও আনা হয়েছে নতুনত্ব।

এই শিক্ষাক্রমটি জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি) সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এনসিটিবি জানিয়েছে, শিক্ষণ ও বিষয় বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সুধীজনের পরামর্শের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে আরও পরিমার্জনের সুযোগ রাখা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই যুগান্তকারী পরিবর্তন বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন ও দক্ষতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আরো পড়ুন