বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে ঘিরে রাজধানীতে সাজানো হয়েছে নানা আয়োজন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাধিক কনসার্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হবে ‘ব্যান্ড শো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই আয়োজনে অংশ নেবে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ওয়ারফেজ, ভাইকিংস, এভোয়েড রাফা, দলছুট, লালন, আর্টসেল ও স্টোনফ্রি।
এছাড়া অংশ নিচ্ছে দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ব্যান্ডদল: মারমা সম্প্রদায়ের চিম্বুক, ত্রিপুরাদের ইমাং, চাকমাদের ইনভোকেশন, খাসিয়াদের ইউনিটি এবং গারো সম্প্রদায়ের ব্যান্ডদল এফ মাইনর। অনুষ্ঠানকে আরও বর্ণিল করে তুলতে থাকছেন ৫০ জন ঢাক-ঢোল বাদক এবং ৫০ জন লাঠিখেলা শিল্পী।
নববর্ষ উপলক্ষে আগামী সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’য় প্রথমবারের মতো শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ২৮টি জাতিগোষ্ঠীর ৪৯৪ জন শিল্পী অংশ নেবেন বর্ণিল সাজে। এসব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে—বাঙালি, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, লুসাই, পাংখোয়া, বম, ম্রো, রাখাইন, খিয়াং, বানাই, সাঁওতাল, ওঁরাও, তুরী, মাহালি, মালপাহাড়িয়া, কোল, মাহাতো, মুণ্ডা রাজোয়াড়, মনিপুরী, খাসিয়া, চা-জনগোষ্ঠী, গারো, হাজং, কোচ ও মালো।
শোভাযাত্রায় আরও অংশ নেবে দুই শতাধিক ব্যান্ড মিউজিশিয়ানস। এ সময় বিশ্বশান্তি কামনায় এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সম্মিলিতভাবে গান পরিবেশন করা হবে।
নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে, শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় এবং চীনা দূতাবাস, জাতীয় সংসদ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় অনুষ্ঠিত হবে একটি বিশেষ ‘ড্রোন শো’ ও ‘ব্যান্ড শো’।
এছাড়াও মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ‘বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’। এই আয়োজনে থাকবে ব্যান্ড সংগীত, নৃত্য ও একক সংগীত পরিবেশনা। অংশ নেবে বাংলা ফাইভ, সর্বনাম, অনিমেষ রায় ও তার দল এবং রে রে সংগঠন।
সমবেত যন্ত্রবাদন ও সংগীত পরিবেশন করবেন শিল্পকলা একাডেমির যন্ত্রশিল্পীবৃন্দ, কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ। সমবেত নৃত্যে অংশ নেবে নান্দনিক নৃত্য সংগঠন, কায়া আশ্রম, বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস, স্বপ্ন ছোঁয়া সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংস্থা ও একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা।