জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপে অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শুরু হওয়া এই সংলাপে বিএনপি, এনসিপি, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধিরা অংশ নিলেও জামায়াতের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
তিন দিনব্যাপী এই সংলাপের লক্ষ্য জুলাই মাসে একটি ‘ঐকমত্য সনদ’ ঘোষণা করা। আলোচনায় সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন, নারী প্রতিনিধিত্ব, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ এবং সংসদের স্থায়ী কমিটির সভাপতির মনোনয়ন—এই সব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা চলছে।
এর আগে অনুষ্ঠিত দুই দফা সংলাপে জামায়াতে ইসলামী অংশ নিলেও এবার তারা হঠাৎ করে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ গণমাধ্যমকে জানান, “আমরা এবারের সংলাপে অংশ নিচ্ছি না।” তবে তিনি এ সিদ্ধান্তের কারণ বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেননি।
সংলাপের শুরুতে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, “সব দলের সম্মতি না পেলেও, জাতীয় স্বার্থে জুলাই মাসের মধ্যেই একটি গ্রহণযোগ্য সনদ ঘোষণা করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “ঐকমত্যে পৌঁছাতে রাজনৈতিক দলগুলোকে কিছুটা ছাড় দেওয়ার মানসিকতা দেখাতে হবে।”
সংলাপের বিষয়বস্তু ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ঘিরে কমিশনের এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা চলছে।