Ridge Bangla

অস্ট্রেলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট শুরু

অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হয়েছে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। দেশটির প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ ভোটার এবার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন। নির্বাচনে বামপন্থী অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ পুনরায় ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন পিটার ডাটনের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন।

বড় ইস্যু জীবনযাত্রার ব্যয়
এবারের নির্বাচনে মূল ইস্যু হয়ে উঠেছে জীবনযাত্রার ব্যয়, যা স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসনের খরচ বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। ভোটারদের মধ্যে এ নিয়ে উদ্বেগ স্পষ্ট। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশে কয়েক দিন বা সপ্তাহও লাগতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ায় ১৮ বছর বয়স থেকে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক, এবং যারা ভোট দেন না তাদের ১৩ ডলার জরিমানা গুনতে হয়। নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের ১৫০টি এবং সিনেটের ৭৬টির মধ্যে ৪০টি আসনে ভোট হচ্ছে।

দুই প্রধান দলের মধ্যে লড়াই
দেশটির রাজনীতিতে অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টি ও লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন দুইটি প্রধান দল হিসেবে পরিচিত। সরকার গঠনের জন্য প্রতিনিধিসভায় অন্তত ৭৬টি আসন পেতে হয়। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না হলে ছোট দল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থন নিতে হয়। গত নির্বাচনে প্রতি তিনজন ভোটারের একজন প্রধান দুটি দলের বাইরে ভোট দেন।

স্বাস্থ্যসেবা: রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে
দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ‘মেডিকেয়ার’ নামে পরিচিত একটি সরকারি প্রকল্পের আওতায় চলে, যা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হিসেবে উন্নত চিকিৎসা সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু বাস্তবে রোগীদের দীর্ঘ অপেক্ষা ও সীমিত সেবার মুখোমুখি হতে হয়, যা নির্বাচনী আলোচনায় বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে।

অভিবাসন ও আবাসন সংকট
অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী প্রতি তিনজনের একজনের জন্ম বিদেশে। অভিবাসনবান্ধব দেশের পরিচিতি থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ি ভাড়া ও আবাসন সংকট অভিবাসীদের মাঝে হতাশা বাড়াচ্ছে। এ ইস্যুটিও ভোটারদের মধ্যে দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।

এই নির্বাচন শুধু নতুন সরকার নয়, নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গির বড় পরিবর্তন আনার দিকেও দৃষ্টি দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান জনগণ।

আরো পড়ুন