শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাজারে বাড়লেও দাম এখনো ক্রেতার নাগালের বাইরে। রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগমসহ বেশিরভাগ সবজিই গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতাদের দাবি, অক্টোবরে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতকালীন সবজির উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কোথাও জমি নষ্ট হওয়ায় সরবরাহ কমে গেছে। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন কম থাকায় বাজারে দাম স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে।
ক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজি বাজারে এসেছে প্রায় এক মাস হলেও দামের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। মালিবাগ বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা শিহাব হোসেন বলেন, প্রতি বছর এই সময় সবজির দাম কমে যায়। কিন্তু এ বছর দাম কমার কোনো লক্ষণই নেই।
বর্তমানে এক কেজি বেগুন কিনতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা খরচ হচ্ছে, যেখানে সাধারণত শীতকালে দাম থাকে ৪০–৬০ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায়। নতুন শিমের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে, কিছু বাজারে যা ৭০–৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। একই সময়ে গত বছর শিমের দাম ছিল ৫০ টাকা, ফুলকপি মিলত ২০–৩০ টাকায়। নতুন আলু ১২০–১৫০ টাকা কেজি, বরবটি ৭০–৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ও পটোল ৫০–৭০ টাকা এবং নতুন মিষ্টিকুমড়া ৮০–১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। শাকের দামও বেশি; প্রতি আঁটি ২০ টাকা, যা শীতকালে সাধারণত ১০–১৫ টাকায় পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার জানান, ঢাকায় সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ আসতে আরও ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে। তখন দাম কমতে পারে। সবজির চড়া দামের মাঝেও পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। দেশি পেঁয়াজ ১১০–১২০ টাকায় মিলছে। ডিম ও মুরগির দামও স্থিতিশীল; ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি ১২৫–১৩০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৬০–১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
