Ridge Bangla

ট্রাম্পের সঙ্গে মনোমালিন্যের পর নিজের ফোন নম্বর পাল্টিয়েছেন ইলন মাস্ক

বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক নিজের ফোন নম্বর পরিবর্তন করেছেন। তাও আবার এই কাজ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্যে মনোমালিন্যের পর। এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার মাইক জনসন। খবর দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট-এর।

লুইজিয়ানার রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা মাইক জনসন মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট-কে বলেন, ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ সংক্রান্ত বিবাদ চলাকালে মাস্ককে খুদে বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করার পর তিনি বুঝতে পারেন মাস্ক নম্বর পরিবর্তন করেছেন।

এর আগে জনসন বলেছিলেন, বিলিয়নিয়ার মাস্ক রাগ করে ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন—আলোচনার ভাষায় যাকে ‘ঘোস্ট’ করে দেওয়া বলা হয়। বিতর্কিত ওই বিলটি ধনীদের করছাড় দিলেও বিপরীতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য সহায়তার মতো কর্মসূচিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।

নিউইয়র্ক পোস্ট-কে জনসন বলেন, “আমি তাকে (মাস্ককে) একটা লম্বা মেসেজ পাঠিয়েছিলাম, তারপরই দেখি তার নম্বর বদলে গেছে। ওই রাগারাগির পর কী যেন একটা ঘটেছিল তার সঙ্গে। পরে বুঝলাম আমি ওই বার্তা কোনো অন্য ঠিকানায় পাঠিয়েছিলাম, আর তিনি সেটা পড়েনইনি। তাই আমি তার সঙ্গে সরাসরি দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের এই ব্যাপারটা মিটমাট করে নিতে হবে।”

ট্রাম্প গত ৪ জুলাই ওই বিলটিতে স্বাক্ষর করেন। তবে এটি পাস হওয়ার আগে প্রেসিডেন্টের একসময়ের ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ মাস্ক এর বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এটি বাজেট ঘাটতি আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দেবে।

নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মাস্ক লিখেছিলেন, “দুঃখিত, কিন্তু আমি আর এটা সহ্য করতে পারছি না। এই বিশাল, লজ্জাজনক, রাজনৈতিক সুবিধাভিত্তিক কংগ্রেসের খরচের বিল একেবারেই জঘন্য।”

চলতি বছরের বেশ কয়েক মাস মাস্ক ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে গঠিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগ—ডিওজিই-এর কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই বিভাগের উদ্দেশ্য ছিল সরকারি খরচ কমানো। তার নেতৃত্বে ডিওজিই লাখ লাখ ফেডারেল কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে, বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থা কার্যত অকার্যকর করে ফেলেছে এবং হাজার হাজার সরকারি চুক্তি ও অনুদান বাতিল করেছে।

মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে টানাপোড়েন চলেছে গত ৫ জুন পর্যন্ত। সেদিন মাস্ক দাবি করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাম যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের ফাইলে উঠে এসেছে। তবে এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। ১১ জুন মাস্ক জানান, প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে তিনি যে পোস্টগুলো করেছিলেন, তার জন্য তিনি ‘অনুতপ্ত।’ আর ট্রাম্প বলেন, মাস্কের প্রতি তার ‘কোনো ব্যক্তিগত ক্ষোভ’ নেই।

এদিকে, ট্রাম্প তার ‘বিগ বিউটিফুল বিলে’ স্বাক্ষরের কিছুদিন পর মাস্ক ঘোষণা দেন, তিনি নতুন ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠন করবেন। তিনি এক্সে লেখেন, “যখন বিষয় আসে দুর্নীতিপূর্ণ অপচয়ের মাধ্যমে আমাদের দেশকে দেউলিয়া করার, তখন আমরা একদলীয় শাসনের মধ্যে আছি, কোনো গণতন্ত্রে না।”

আরো পড়ুন