ভারতে বিতর্কিত ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন কার্যকর হয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের তীব্র আপত্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিবাদের মধ্যেই। গত শনিবার ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিলটি আইনে পরিণত হয়। এর আগে বিলটি গত বুধবার গভীর রাতে লোকসভায় ২৮৮-২৩২ ভোটে এবং পরদিন রাজ্যসভায় ১২৮-৯৫ ভোটে পাস হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, “এই আইন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উপকারে আসবে, যারা এতদিন উপেক্ষিত ছিল।” তবে বিরোধী দল কংগ্রেসের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী সংসদীয় দলের বৈঠকে বলেছেন, “এই আইন সংবিধান অবমাননার আরেকটি উদাহরণ। বিজেপি দেশকে এক গভীর সংকটে ফেলছে।”
সবচেয়ে বিতর্কিত দিক হচ্ছে এই নতুন আইনে অমুসলিমদের ওয়াকফ বোর্ডে নির্বাহী পদে নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকারগুলো চাইলে দুইজন পর্যন্ত অমুসলিম সদস্যকে বোর্ডে নিয়োগ দিতে পারবে। এমনকি, একজন জেলা প্রশাসক (ডিসি) বিতর্কিত সম্পত্তিকে ওয়াকফ ঘোষণা করতে পারবেন বা সরকারি মালিকানায় নিতে পারবেন।
এই ধারাগুলোকে মুসলিম সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় সম্পত্তির ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে এবং এতে ওয়াকফ সম্পত্তির স্বতন্ত্রতা ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে তারা আশঙ্কা করছে। আইনটি আজ থেকেই কার্যকর হয়েছে। ইতোমধ্যে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পারসোনাল ল বোর্ড এ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে।
এছাড়া ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এখনো এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। মুসলিম সংগঠনগুলো বলছে, তারা আইনত ও সাংবিধানিকভাবে এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।