Ridge Bangla

পাবনায় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ওসি তুহিন

আবারও আলোচনায় এসেছেন পাবনা ডিবি পুলিশের সাবেক ওসি এবং বর্তমানে লক্ষীকুণ্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে নৌপথে সক্রিয় কাকন বাহিনীসহ আওয়ামী লীগের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সখ্যতা এবং সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে স্থানীয় বিএনপি নেতারা তাঁর প্রত্যাহার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

পূর্বে ছাত্র আন্দোলন ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের দমন-পীড়নের অভিযোগে তাঁকে দৌলতদিয়া ঘাটে বদলি করা হলেও কয়েক দিনের মধ্যে আবার রূপপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নৌ-পুলিশ ইনচার্জ পদে পদায়ন করা হয়, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিভিন্ন সূত্রের দাবি, তিনি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ঘনিষ্ঠ হয়ে পাবনা ডিবির ওসির দায়িত্বে নিযুক্ত হন এবং দীর্ঘদিন ওই পদে থেকে বালু মহাল, অবৈধ সিরাপ কারখানাসহ নানা ব্যবসায় প্রভাব বিস্তার করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানোর অভিযোগও উঠেছে।

ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত জাকারিয়া পিন্টু অভিযোগ করেন, “ডিবির ওসি থাকার সময় তুহিন বিএনপি নেতাদের বাড়িতে গিয়ে নির্যাতন চালান। পরে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই তাঁকে লক্ষীকুণ্ডায় আনা হয়।”

অভিযোগের বিষয়ে তুহিন বলেন, “আমি তাদের (কাকন বাহিনী) চিনি না। নদীঘেঁষা এলাকায় যা হচ্ছে তা আপনারা ভালো জানেন। পিন্টু ভাইয়ের গ্রুপিংয়ের শিকার হয়ে আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে।” তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক আরও জোরদার হয়েছে।

আরো পড়ুন