শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডের লর্ডস থেকে আর ঢাকার মিরপুর স্টেডিয়ামে আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষের টেস্ট ম্যাচে মাঠে নেমে স্পর্শ করলেন নতুন এক মাইলফলক। দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ারে চড়াই–উতরাই পেরিয়ে আজ তিনি বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্টের মাইলফলক স্পর্শ করলেন। তিনি হলেন বাংলাদেশের অন্যতম উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
২০০৫ সালের ২৬ মে লর্ডস টেস্টে মুশফিকুর রহিমকে অভিষেক টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে ছিলেন দলনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। আজ ২০২৫ সালের ১৯ নভেম্বর মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১০০ তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামেন মুশফিক। আজকের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তেও স্মারক ক্যাপ পেলেন মুশি, যেটি পরিয়ে দেন বর্তমানে বাংলাদেশ দলের নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা সেই হাবিবুল বাশার সুমনই। যা পেয়ে খুবই খুশি মি. ডিপেন্ডেবল। মুশফিকের শততম ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে আয়োজনের কমতি রাখেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মুশফিকের জন্য বিশেষ ক্যাপ, বিশেষ জার্সি, স্মারক- সবকিছুই রেখেছে বোর্ড। অভিনন্দন জানিয়েছেন ক্রিকেট বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা, সতীর্থরা। কয়েকজন ক্রিকেটার মুশফিককে নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্টও করেছেন।
২০০৫ সালের ২৬ মে লর্ডসে অভিষেক হওয়া বেবি–ফেসের সেই মুশফিক দেখতে দেখতে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ২০ বছর পার করে ফেলছেন। ৩৮ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ ব্যাটার ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও লাল বলের ক্রিকেটে এখনো দলের অন্যতম ভরসা।
১০০ টেস্ট খেলার আগে ৯৯ টেস্টে বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৬৩৫১ রান করেছেন মুশফিক। সর্বোচ্চ তিন ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২১৯ রানের ইনিংসও তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে। লর্ডসে ১৯ রান দিয়ে শুরু করা সেই মিতু আজ ৬,৩৫১ রানের মালিক। ক্যারিয়ারে মাত্র দুইবার তিন টেস্টের সিরিজ খেলার সুযোগ হয়েছে। বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজের বেশির ভাগই ২ টেস্ট বা ১ টেস্টের সিরিজ হয়েছে।
টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছরের ইতিহাসে ৮৩ জন ক্রিকেটার ১০০ ম্যাচ খেলেছেন। এই এলিট ক্লাবের ৮৪তম সদস্য হলেন মুশফিক। টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি মুশফিকের নিবেদন প্রশ্নাতীত। ম্যাচ সংখ্যায়, রানে, স্থায়ীতে, ধৈর্যে, পরিশ্রমে, আচার–আচরণে, ত্যাগে দেশের সবাইকে পেছনে ফেলা এই কিংবদন্তির দুই দশকের টেস্ট ক্যারিয়ার জ্বলজ্বলে।
