পাকিস্তানের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী হুমায়রা আসগরের মৃত্যুর আগে কী ঘটেছিল, সে বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে মামলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে তার মোবাইল ফোন সন্ত্রাস দমন বিভাগ (সিটিডি)-এর হাতে ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য রয়েছে।
তদন্তকারীরা জানান, সিটিডির বিশেষজ্ঞ দল ফোনের প্রাইভেসি লক ভেঙে তার শেষ কল ও মেসেজ বিশ্লেষণ করবেন। এতে ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে। সূত্র মতে, হুমায়রাকে সর্বশেষ ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে ক্লিফটন এলাকার বাইরে যেতে দেখা যায় এবং এক ঘণ্টার মধ্যে তিনি বাসায় ফিরে আসেন। এরপর তাকে আর বাসা থেকে বের হতে কেউ দেখেনি।
তদন্তে উঠে এসেছে, হুমায়রা দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন এবং কাজ না থাকায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। মোবাইল ফোনে পাওয়া মেসেজ থেকে জানা যায়, তিনি একাধিকবার পরিচিতদের মাধ্যমে চাকরির জন্য অনুরোধ করছিলেন, কিন্তু সাড়া পাননি।
আশ্চর্যজনকভাবে, মৃত্যুর দীর্ঘ সময় পরেও বাসা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়নি। নভেম্বরে ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসিন্দারা দুর্গন্ধের অভিযোগ করলে বাড়িওয়ালা তা গুরুত্ব দেননি। তদন্তকারীদের মতে, এই বিলম্ব ঘটনাটির সময় নির্ধারণে জটিলতা তৈরি করেছে।
তারা ধারণা করছেন, হুমায়রা বাথরুম থেকে বের হয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান এবং তাতেই মৃত্যু হয়। তার রান্নাঘরে কোনো খাবারের চিহ্ন মেলেনি, যদিও মোবাইলে একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপ ইন্সটল করা ছিল, যা সেই সময় কার্যকর ছিল না।
তদন্তকারীরা বর্তমানে তার ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহের অপেক্ষায় আছেন। তাদের আশা, এটি তার আর্থিক অবস্থা এবং শেষ দিকে যোগাযোগ ও কর্মসংস্থানের তথ্য উন্মোচনে সহায়ক হবে।